Sentence alignment for gv-ben-20090819-5267.xml (html) - gv-zhs-20090818-3494.xml (html)

#benzhs
1এইচআইভি আক্রান্তদের ব্লগিং: “ভালোবাসা এখনো সম্ভব”
2বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকা সংখ্যক এইচআইভি পজিটিভ ব্লগাররা কিভাবে তারা এই ভাইরাস নিয়ে বেঁচে আছেন তা প্রকাশ করতে নাগরিক মিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।
3এইচআইভি/এইডস নিয়ে খোলাখুলি ভাবে কথা বলা অনেক সমাজেই কঠিন হতে পারে।
4কোটি কোটি লোক এই ভাইরাসের শিকার হয়েছে, কিন্তু এই বাস্তবতা যে এটাকে সবাই খুব ভয় পায় আর এটা যৌন সংসর্গে ছড়াতে পারে, তার মানে হল এইচআইভি নিয়ে বসবাসকারীরা প্রায় ধিক্কৃত হন।
5তারপরেও ডজন ডজন সাহসী মানুষ তাদের গল্প লিপিবদ্ধ করেন, আর মাঝে মাঝে তাদের অধিকার বা ভালো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য প্রচারণাও করেন ব্লগ বা ইন্টারনেট ফোরামে, যেখানে সবাই পড়তে পারে।
6ব্লগিং পজিটিভলি ম্যাপ বড় করে দেখতে ক্লিক করুন দক্ষিণ আফ্রিকা:爱滋博客:「仍有可能去爱」
7দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বুসি নামে একজন কবি আর ব্লগার ধর্ষিত হওয়ার ছয় মাস পরে ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে জানতে পারেন যে তার দেহে এইচআইভি ভাইরাস ঢুকেছে।
8এখানে রয়েছে তার দু:খের কাহিনী, যা তিনি তার ব্লগ মাই রিয়ালিটিজ এ লিখেছেন:
9বেশী দিন হয়নি জানতে পারলাম যে আমি এইচআইভি তে আক্রান্ত।
10আমি অনেক বেশীবার আক্রান্ত আর ধর্ষিত হয়েছি যার ফলে এই ভাইরাসে আমি আক্রান্ত হয়েছি।
11কারণ হল যে আমি একজন নারী যে নিজেকে সমকামী বলি একজন মহিলার সাথে আমার সম্পর্কের কারনে।
12আমাকে আক্রমণকারী আর বিভিন্ন ধর্ষক পুরুষরা এমন করেছে আমাকে বোঝানোর জন্য যে নারী হওয়ার আসল মানে কি।
13বুসি এই সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচতে পারেন নি যেহেতু তিনি ২০০৭ সালের মার্চ মাসে রোগে ভুগে মারা যান।
14কিন্তু তার ব্লগ আর কবিতা তার জীবনের শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে রয়ে গেছে, যেমন আছে তার মত আরও অনেকের ব্লগ যতদিন পর্যন্ত না এর উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়া যায়।
15চীন:
16চীনের এইচআইভি পজিটিভ ব্লগার লি জিয়ান এইচআইভিতে আক্রান্ত হন কিশোর অবস্থায়, উচ্চ বিদ্যালয়ে থাকা কালে রক্ত দানের সময়।
17২০০৫ সাল থেকে ব্লগিং শুরু করেন যখন তার বয়স বিশের ঘরে ছিল।
18এই বছরের শুরুর দিকে একটা ব্লগ পোস্টে ( চীনা ভাষায়) তিনি এইডসকে প্রতি ভয় কমানোর চেষ্টা করেছেন এই বলে যে অন্যান্য জীবনঘাতী অসুখের চাইতে বেশী এইডসকে ভয় করা উচিত না, আর তিনি নিজে ভীত না চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির কারণে।
19ফিলিপাইন্স:
20কিকস হচ্ছে হংকং এর কাউলুন এ বসবাস রত একজন ফিলিপিনো ব্লগার ।
21২০০৭ সালে তিনি আবিষ্কার করেন যে তার এইচআইভি আছে আর এটা নিয়ে কিভাবে আছেন সেটা লিখেছেন: এইচআইভি পজিটিভ হওয়া একেবারেই গুরুতর কিছু না।本系列报导由全球之声与联合国人口基金合作制作博客「为更好世界,对话」( Conversations for a Better World )內容· 所有文章
22এটা যেন সারা জীবনের জন্য হার্টের অসুখ হওয়া যদিও আমার ডাক্তাররা বলেছেন যে এটা ডায়বেটিস হওয়ার থেকে ভালো।
23আজকাল এত ভালোভাবে ঔষধ পাওয়া যায়, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনি ক্যান্সারের রোগী, রক্ত শূন্য বা বয়স্ক যারা ম্যানিলার মতো দূষিত শহরে থাকেন তাদের থেকে বেশী দিন বাঁচবেন।
24যুক্তরাজ্য: ফ্রিরেঞ্জলাইফ নামের ব্লগার যুক্তরাজ্যের একজন সমকামী পুরুষ যিনি এইচআইভি নিয়ে ২০ বছরের বেশী বেঁচে আছেন।此篇文章是全球之声UNFPA blog系列的一部分 Conversations for a Better World · Lahatsoratra rehetra
25তিনি সাম্প্রতিক একটা পোস্টে সাবধানতা অবলম্বনের ব্যাপারে গাফিলতি করার বিপদের কথা লিখেছেন:
26আমরা প্রায় ২০ বছরের বেশী এইচআইভি সম্পর্কে জানি, মানুষ এর বিপদের কথা জানে।
27তাহলে এটা তবুও কেন হয়?
28এর কারণ আমরা ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি আর ভাবি ‘এটা আমার সাথে কখনো হবে না।“
29কঙ্গো প্রজাতন্ত্র:
30এইডস রাইট কঙ্গো ব্লগের ডেভি হারমান মালান্ডা গত বছর লিখেছিলেন নিজের এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার খবর অন্যদের জানানোর বিপদ সম্পর্কে।
31তিনি বেরনাডেটা (নকল নাম) নাম্নী এক মহিলার গল্প বলেছেন, যিনি কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পোয়াঁ নোয়ারে টি-টি বাজারে পুরানো কাপড় বিক্রি করেন:
32বেরনাডেটার জীবন পাল্টিয়ে গিয়েছিল যখন তার কাছের বন্ধু তার এইচআইভি হওয়ার কথা সবাইকে জানিয়ে দেন।
33তার সহকর্মী আর গ্রাহকেরা জেনে যায় যে সে এইচআইভি পজিটিভ।
34ফলে বাজারে তার টেবিলে খুব কম গ্রাহক কাপড় কিনতে আসত।
35তার জীবন কষ্টের হয়ে যায়, আর সংসার চালানোর জন্যে রোজকার করা তার অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
36কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ব্রাজাভিল থেকে অরেলি লিখেছেন তার নিজের এইচআইভি আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারার আঘাতের কথা:
37প্রাথমিকভাবে এটা আমাকে এক টন ইটের মতো এসে আঘাত করেছিল।
38আমি সাথে সাথে আমার জীবন পাল্টাতে দেখেছি আর দু:শ্চিন্তা আমার মাথায় চেপে বসেছিল।
39তিনি আরো লিখেছেন যে তার পরিবারের সহায়তায় আর একটা অলাভ জনক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় এখন তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন।
40যুক্তরাষ্ট্র:
41আন্তর্জাতিক পজ ব্লগ নেটওয়ার্কের একটা ব্লগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিশেল লিখেছেন যে এইচআইভি নিয়েও ‘ভালোবাসা এখনো সম্ভব' আর জানিয়েছেন কিভাবে তিনি তার নতুন জীবন সঙ্গীকে খুঁজে পেয়েছেন।
42তিনি এই পরামর্শও দিয়েছেন:
43যারা নতুন আক্রান্ত বা যারা একা থাকতে থাকতে ক্লান্ত, আশাহত হবেন না।
44ভালোবাসাতে হার মানবেন না।
45আপনার সব থেকে যখন প্রয়োজন আর আপনি যখন একেবারেই আশা করছেন না তখন এটা আপনিই আসবে।
46কেনিয়া:
47এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার মানে এই না যে বৈষম্যের কারনে আপনি সব ধরনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন।
48মি: আর মিস রেড রিবন একটা চ্যারিটির অনুষ্ঠান আর ফ্যাশন শো যা কেনিয়ার নাকুরুর তরুণ সংঘ প্রতি বছর আয়োজন করেন।
49রাইজিং ভয়েসেস এর কেনিয়ার ব্লগিং প্রকল্প রিপ্যাক্টেড এর সদস্য এইচআইভি পজিটিভ ব্লগার মরিন এর একজন প্রতিযোগী ছিলেন আর তার অভিজ্ঞতা ব্লগে লিখেছেন:
50আমি ২০০৬ সাল থেকে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে আসছি আর এর প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করি একটা কারনে, ঘৃণা আর বৈষম্যকে এটি ঘুচিয়ে দেয়।
51মি: আর মিস রেড রিবন আক্রান্ত আর ক্ষতিগ্রস্তদের এক মঞ্চে আনে সৌন্দর্যকে বিশেষ ভাবে উদযাপনের জন্য।
52অনুষ্ঠানের সময়ে দর্শক সৌন্দর্যকে উপভোগ করেন মডেলদের দেখে, আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্তদের দেখে না।
53উপরের গ্লোবাল ভয়েসেস এর তৈরি এইচআইভি পজিটিভ ব্লগারদের গুগল ম্যাপ এইচআইভি পজিটিভ ব্লগার আর তাদের সাহায্য কারীদের কণ্ঠকে তুলে ধরে, আর এইচআইভি/এইডস এর সাথে জড়িত অন্যান্য নাগরিক মিডিয়াকেও।
54ম্যাপের লিঙ্কে ক্লিক করে আপনারা এ ধরনের আরো বিস্ময়কর গল্প পড়তে পারেন।